1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

জ্বালানি তেল নিয়ে জোর করে বাংলাদেশকে শ্রীলংকা বানানোর অপচেষ্টা

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২
  • ১৪৬ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: ‘দেশে পেট্রল-অকটেন ফুরিয়ে যাচ্ছে, পেট্রলের মজুত আছে ১৩ দিনের এবং অকটেনের মজুত আছে ১১ দিনের’ এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে ডেইলি স্টারসহ কিছু মিডিয়া। যদিও প্রতিবেদনটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা সরিয়ে নেয়া হয়। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও এসব মিডিয়া দেশবিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।

গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ইংরেজি ডেইলি স্টার পত্রিকার বাংলা ভার্সনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। ডলার সংকট ও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্যের কারণে ব্যাংকগুলোতে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে না পারায় এ সংকটের সৃষ্টি করেছে। আগামী আগস্টে ৩ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেলের চাহিদার বিপরীতে ১৯ জুলাই পর্যন্ত মাত্র ১ লাখ মেট্রিক টন ঋণ খোলা হয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘দেশে ডিজেল মজুত ক্ষমতা ৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। অকটেন মজুত ক্ষমতা ৪৬ হাজার মেট্রিক টন, গ্যাসোলিন ৩২ হাজার মেট্রিক টন, কেরোসিন ৪২ হাজার মেট্রিক টন। আর ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল মজুত করা যাবে।’

ওপরের ভুল এবং মিথ্যা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা সরিয়ে নেয়া হয়।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ পেট্রল ও অকটেন আমদানি করে না বললেই চলে। পেট্রলে এদেশ আত্মনির্ভরশীল। অকটেন কিছু পরিমাণ আমদানি করতে হয়, সেটা বুস্টার হিসেবে। আমাদের গ্যাস ফিল্ডের কনডেনসেট থেকেই দেশের চাহিদার সবটুকু উৎপাদন করা হয়। দেশে অকটেন ও পেট্রলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। এ ছাড়া দেশে অকটেন ও পেট্রলের পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও কিছু নামধারী মিডিয়া দেশকে শ্রীলংকা বানানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জনমনে ভীতি তৈরির উদ্দেশ্য নিয়েই এসব গুজব ছড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেন, পেট্রল ও অকটেনের মজুত নিয়ে বিপিসি ভালো বলতে পারবে। তবে দেশ শ্রীলংকার মতো হওয়ার কোনো আশঙ্কাই নেই। তাদের আসল সমস্যা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ। তাদের কোনো ডলার নেই। তারা ঋণখেলাপি হয়ে গেছে। আমাদের তো সেসব সমস্যা নেই। আমাদের পর্যাপ্ত মজুত আছে। আমাদের ইন্টারনাল রিজার্ভ অনেক শক্তিশালী। বিশেষ করে সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য বিষয়ে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে আছি। আমরা আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ বিদেশি ঋণ পরিশোধ করছি।

তিনি বলেন, আমরা যদি নতুন করে বড় ধরনের কোনো ঋণ না নেই তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আমরা তো ভালো আছি। ইকোনমিক রিকভারি না হলেও আর কোনো বড় ধরনের ঋণ নেয়া হবে না, এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। এখন যেসব ঋণ আছে সেগুলোই পরিশোধ করা হচ্ছে।

দেশ রসাতলে যাক, তাও সরকার পতন হোক এমন কিছু মানুষ আছে উল্লেখ করে ম তামিম আরও বলেন, কিছু মানুষ আছে দেশের যা হচ্ছে হোক, কিন্তু সরকারকে নাজেহাল করতে হবে। বিভ্রান্তি ছড়াতে হবে। তারাই এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। তারা চাচ্ছে বাংলাদেশর অবস্থা শ্রীলংকা মতো হয়ে যাক। দেশ রসাতলে যাক, তাও সরকারের পতন হোক। আমরাও সরকারের সমালোচনা করি; কিন্তু দেশকে ধ্বংস করে কোনো কিছু করব নাকি?

ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এবং জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশীয় প্ল্যান্টগুলোতে অকটেন ও পেট্রল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে, যা জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহকে আরও সুসংহত করছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীন বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে এসব উৎপাদিত অকটেন ও পেট্রল সারা দেশে সরবরাহ করা হয়।

দেশে অকটেনের গড় মাসিক চাহিদা প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন ও পেট্রলের ৩৩ হাজার মেট্রিক টন চাহিদা রয়েছে। দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমে পেট্রলের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হয়।

কাজেই আমদানি করা অকটেন-পেট্রলের মজুত শেষ কবে হবে এটা নিয়ে যারা কাউন্টডাউন করছেন, তারা ভুল করছেন, বিভ্রান্ত করছেন। যদিও তাদের অতীত ইতিহাস সুখকর নয়। অতীতেও তারা এমন বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়াতে সামনের সারিতেই ছিলেন, এখনও আছেন সরব।

বিপিসির কর্মকর্তারা বলছেন, ‘পেট্রলের বেশির ভাগটাই দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মেটানো হয়। এর সঙ্গে আমদানির সম্পর্ক নেই। ‘ডিজেলের মজুত কিছুটা কমেছে। তবে বেশকিছু জাহাজ ইতোমধ্যেই আসতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও দাম কমছে। ফলে সামনে আমদানি আরও বাড়বে।’

জ্বালানি তেল আমদানি প্রসঙ্গে বিপিসির পরিচালক (অপারেশন ও বাণিজ্য) খালিদ আহম্মেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিপিসির চুক্তি অনুযায়ী জ্বালানি তেলের সরবরাহ লাইন এখনো স্বাভাবিক আছে। সরকার চাইছে দেশে জ্বালানি তেলের ব্যবহার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমাতে। এই লক্ষ্যে আমরা (বিপিসি) কাজ করছি। ইতোমধ্যে সরকার বিদ্যুৎ সেক্টরে জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমিয়েছে। পরিবহন সেক্টরেও জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমানোর পরিকল্পনা আছে।’

এর আগে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি ডেইলি স্টারসহ দু’একটি গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিল। এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ ছাড়তে হলে প্রতিহিংসা থেকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়। মাহফুজ আনামও সক্রিয়ভাবে এতে যোগ দেন। তারা সশরীরে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সে সময়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে ইমেইল করেন। আর হিলারি বিশ্বব্যাংকের সে সময়ের প্রেসিডেন্টকে দিয়ে সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করেন। এ ছাড়া এক-এগারোর ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত ছিল ওই গণমাধ্যমটি।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর সেনা হস্তক্ষেপে গঠিত ফখরুদ্দীন আহমদ’র নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সূত্রবিহীন খবর যাচাই না করে প্রকাশের জন্য সাংবাদিকতার ‘ভুল’ স্বীকার করেন ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম।

২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজে এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নের মুখে মাহফুজ আনাম বলেন, ‘এটা আমার সাংবাদিকতার জীবনে, সম্পাদক হিসেবে ভুল, এটা একটা বিরাট ভুল। সেটা আমি স্বীকার করে নিচ্ছি।’

মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় ওই অনুষ্ঠানে মাহফুজ আনাম গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, দায়িত্বশীলতা নিয়ে কথা বলেছিলেন। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ডেইলি স্টারের বিতর্কিত ভূমিকার প্রসঙ্গ শুরুতেই সঞ্চালক তুললে তা অস্বীকার করেন মাহফুজ আনাম। অনুষ্ঠানের আলোচক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ‘হেড অব কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স ও এডিটোরিয়াল পলিসি কো-অর্ডিনেটর’ গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদও তখন ডেইলি স্টার নিয়ে নানা অভিযোগের বিষয়টি তুলে ধরন। এরপর ‘ভুল’ স্বীকার করেন মাহফুজ আনাম।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..